নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
পটুয়াখালীর দশমিনা থানাধীন বড় গোপালদি গ্রামে বড় মুন্সিবাড়িতে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এতে আহতরা হলেন বড় মুন্সিবাড়ির মৃত্যু হাসেম মুন্সির ছেলে হেলাল মুন্সি (৫০) তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৪০) ভাইয়ের ছেলে ফাহিম (১৭) ও শামীম (১৭)।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।পরে সেখানে গুরুতর আহত হেলাল মুন্সি ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত সূত্রে জানা গেছে, হেলাল মুন্সির সাথে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী সামসু মোল্লার সাথে ১০ জ্যৈষ্ঠ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরক্ত চলে আসছে।সামসু মোল্লার কোন ধরনের কাগজ পাত্র না থাকা পরে ক্ষমতার জোরে সেই জমি যবর দখল করবে বলে বিভিন্ন সময় হেলাল মুন্সি কে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
এ নিয়ে হেলাল মুন্সি স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসা বসালে শালীর দ্বারাও বলে দেয় যে সামসু মোল্লা সেখানে কোন জমি পাবে না। অথচ সামসু মোল্লা সালিশের তোয়াক্কা না করে পুনরায় হেলাল মুন্সি কে হুমকি দেয়।
আর এরই জেরে গতকাল দুপুর একটায় বড় মুন্সি বাড়ির সামনে বসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সামসু মোল্লা, বাচ্চু, কামাল, মামুন,রাশেদুল সহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জন ধারালো দা, রামদা, লোহার পাইপ নিয়ে হেলাল মুন্সির উপর হামলা চালায় এবং তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।এ সময় আহতর ডাকচিৎকারে আহতর স্ত্রী তহমিনা ও ভাইয়ের ছেলে ফাহিম ও শামিম তাকে বাঁচাতে আসলে তাদেরও কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহতরা শেবাচিমের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।