বিরল পৌরশহরের শংকরপুর হযরত আলী (রা:) দারুল উলুম হিফজুল কুরআন মাদ্রাসার পরিচালক ফিরোজ আহমেদ এর বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে বলাৎকারের মিথ্যা অভিযোগ তুলে মাদরাসা থেকে তাকে অপসারণ করার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারকে পূর্ণাঙ্গ ঘটনা সরাসরি ব্যক্ত করতে না পেরে ইশারায় বুঝাতে গিয়ে তথ্যের বিভ্রাট ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
ভূক্তভোগী ফিরোজ আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাকে মাদরাসা থেকে অপসারণ করার জন্য মাদরাসা কমিটিসহ একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন ধরনের যোগসাজশ করে আসছে এরই সূত্র ধরে গত ৩ জানুয়ারী ২০২৪ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে বলাৎকার এর মতো ঘৃণিত মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে। এবং তাদের আনিত অভিযোগের কোন প্রমাণ না দিতে পেরেও কমিটির সাথে যোগসাজশ করে অবৈধভাবে আমাকে মাদরাসা থেকে অপসারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবিষয়ে অত্র মাদরাসার সভাপতি হবিবর রহমান জানান, আমরা কমিটির সকলে মিলে পরিচালক ও অভিযোগকারীকে একত্রে বসিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগটি সঠিক নয়। পরে আমরা মাদরাসা কমিটির সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই পরিচালককে আপাতত মাদরাসা থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার পরেও পরিচালককে অপসারণ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইসলামি শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগের প্রভাব প্রতিষ্ঠানে পড়বে যার কারণেই আপাতত এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বলাৎকারের অভিযোগকারী সেই ছাত্র বিস্তারিত বলতে গিয়ে জানান। অনেকদিন আগে তাবলীগ জামাতে থাকা কালীন ঘুমের মধ্যে অজান্তে হুজুর আমার শরীরের গোপনস্থানে হাত দিয়েছিল। বাড়ীতে ইশারায় কথাটি ব্যক্ত করতে গিয়ে তথ্যের বিভ্রাটের ফলে এতকিছু ঘটে যাবে আমি বুঝে উঠতে পারিনি। এছাড়া ছাত্রের পরিবারের আর কেউ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হোননি।