বিরল উপজেলার বিজোড়া স্কুল এন্ড কলেজে দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়া নিয়ে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে হুমকির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে এক যুবককে আটক করে পুলিশী হেফাজতে রেখেছে।
সোমবার দুপুরে বিরল উপজেলার ৭ নং বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেশীয় অস্ত্র হাঁসুয়া নিয়ে উপস্থিত হয়ে ফাহিম (১৬) নামের এক যুবক। পরে প্রধান শিক্ষকের সাথে বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে তাঁর অফিস সহকারী (পিয়ন) জাহাঙ্গীর আলম অস্ত্র (হাঁসুয়া) দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসে ওই যুবককে আটক করে স্থানীয়দের সহযোগীতায় অস্ত্রসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। আটককৃত ফাহিম হোসেন (১৬) বিজোড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বহলা গ্রামের আবুল হোসেন এর ছেলে। এ ঘটনায় অত্র শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিজোড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল জানান, এছাড়াও গত রবিবার অষ্টম শ্রেণিতে এক ছাত্রকে ভর্তি করাবে বলে ফোন দিয়েছিল ফাহিম নামের ছেলেটি। আমি তাকে বলি পূর্বের যে স্কুলে অধ্যায়নরত ছিল সে স্কুলের ছাড়পত্র অবশ্যই লাগবে। পরে গত রোববার ফাহিম সহ ৪/৫ জন স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রবেশ করে ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২টি ক্লাস রুমের ৪ টি ফ্যান সহ বিদ্যুৎ সংযোগের বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করে চলে যায়। আজ (১৩ জানুয়ারী) সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে একজনকে সাথে নিয়ে আমার অফিসে প্রবেশ করে বলে এই ছাত্রটিকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করাবো। আমি কাগজপত্র চাইলে আমার উপর চড়াও হয়ে উচ্চস্বরে কথা বলা শুরু করে পরে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম কক্ষে এসে দেখতে পায় তার পড়নের প্যান্টের মধ্যে আটকানো হাঁসুয়া অস্ত্র দেখেই সে চিৎকার করা শুরু করলে অন্যান্য স্টাফসহ শিক্ষার্থীরা হাজির হয়ে তাকে আটক করে। পরে স্থানীয় অনেক মানুষ এসে হাজির হলে থানায় ফোন দিয়ে অস্ত্রসহ তাকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
বিরল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছবুর জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি হাঁসুয়াসহ ১ জন কে আটক করেছি। তাকে সংশ্লিষ্ট ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীর অবিভাবক ও স্থানীয়রা অনেকেই জানান, আমরা খুবই আতঙ্কে আছি আমাদের ছোট বাচ্চারা এই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। এরকম ঘটনার পর থেকে আমাদের বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। আমরা চাই এর সুষ্ঠ বিচার হোক যাতে করে পূণরায় এরকম ঘটনা ঘটানোর সাহস আর কেউ না পায়৷