রোজিনা আক্তার স্টফ রিপোর্টার:-
বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী মোঃ ইসহাক দুলালের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
মো: ইসহাক দুলাল একজন সমাজসেবক এবং ব্যবসায়ী। উনি একজন সৎ এবং নিরীহ মানুষ। উনাকে মিথ্যা আওয়ামী লীগ এর নেতা বানিয়ে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। উনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে কখনোই জড়িত ছিলেন না। উনি কখনো কোন মানুষের ক্ষতি করেননি। তাকে সবাই পরোপকারী মানুষ হিসেবেই চিনেন।
মো: ইসহাক দুলাল চান্দিশ করা দোতলা মসজিদের সভাপতি এবং চাঁন্দিশ করা তালিমুল কুরআন মাদ্রাসার সভাপতি এবং মাদ্রাসায় হোসাইনিয়া দারুল উলুম চৌদ্দগ্রাম মাদ্রাসার সহ-সভাপতি ও আজীবন দাতা সদস্য। উনি গত ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর বন্যায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সেবামূলক কার্যক্রমে প্রতিনিধিত্ব করেন। উনার মাধ্যমে ৩৫০ বস্তা চাল বিতরণ করা হয়। তিনি চাঁন্দিশ করা দোতলা জামে মসজিদে ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোমলমতি শিশুদের জামাতে নামাজ পড়ার উৎসাহে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য ৪০ টি সাইকেল প্রদান করেন।
মো: ইসহাক দুলাল ঢাকা যানজট নিরসন কমিটির সভাপতি। গত ৫ অক্টোবর ২০২৪ এ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যানজট নিরসনে ১১ টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে। গত ১৪ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব জনাব সাব্বির আহমেদ কে যানজট বিষয়ে সাক্ষাতের জন্য ইমেইলের মাধ্যমে বার্তা প্রেরণ করেন। উনার যানজট নিরসনের এই ১১ দফা প্রস্তাব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করে।
গত ২২ শে ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শাহজাদপুর থানায় মামলা নম্বর ১১(১০)২৪, দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে উনাকে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় কিন্তু এজাহারে লেখা মিন্টু রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। উনাকে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু উনি আদৌ কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। উনার জন্য চৌদ্দগ্রাম বিএনপির পৌরসভার সদস্য সচিব এই মর্মে প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছে যে উনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। উনার জন্য মাদ্রাসায় হোসাইনিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা চৌদ্দগ্রাম থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিয়েছেন যে উনি একজন অরাজনৈতিক, সৎ, দক্ষ ও সমাজসেবক হিসেবে সর্বজন পরিচিত।
উনি জেলে থাকাতে মাদ্রাসার এতিম বাচ্চাদের দৈনন্দিন খরচ পূরণে কর্তৃপক্ষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
এই মামলার সাজানো বাদী প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে মামলার বাণিজ্যের জন্য যোগাযোগ করতে থাকে এবং আমাদেরকে প্রতিদিন থানাতে আসতে বাধ্য করে। বাদী আমাদের কাছে গ্রেফতার হওয়ার দিন থেকে টাকা দাবি করে আসছে। যা ১০ লাখ থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকায় ধার্য হয়। যার অডিও রেকর্ডিং আমাদের কাছে আছে। বাদীর মানসিক নির্যাতনে এবং প্রিয় অভিভাবকের কথা চিন্তা করে আমরা তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হই। যার ভিডিও প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে।
এই মামলার জন্য আমরা অফিসার ইনচার্জ এর সাথে বারবার দেখা করি। কিন্তু উনি আমাদেরকে কোন সহযোগিতা না করে মোঃ ইসহাক দুলালকে আওয়ামী লীগ প্রমাণের ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমরা এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটনের কমিশনারের সাথে দেখা করি। এবং উনার লিখিত সুপারিশ অফিসার ইনচার্জ কে বুঝিয়ে দেই। অফিসার ইনচার্জ তাতেও সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে।
বিগত ১৭ জুলাই থেকে আমাদের পরিবারের সকল সদস্য ফ্যাসিবাদ সরকারের বিপক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। উনার পরিবারে শিশু সদস্য রাও আন্দোলন কর্মসূচিতে ফ্যাসিবাদ সরকারের বিপক্ষে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। প্রমান আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পরেও ফ্যাসিবাদের দোসরদের মাধ্যমে মামলার সম্মুখীন হয়ে আজ আমরা আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি।