নিজস্ব প্রতিবেদক:-
মহিপুর থানাধীন নূরপুর গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।গত ৮ জনুয়ারি বুধবার এ হামলার ঘটনা ঘটে।এতে ইমাম হোসেন(৫০) ও বাকী বিল্লাহ (২৫) নামে দুজন গুরুতর আহত হয়।আহত্বরা মহিপুর থানার নুরপুর গ্রামের মকবুল হাওলাদারের ছেলে ইমাম হোসেন ও তার নাতি বাকী বিল্লাহ।পরে স্থানীয়রা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মহিপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করলে সেখানে গুরুতর আহত বাকি বিল্লাহর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।আহত সূত্রে জানা গেছে, আহত বাকী বিল্লাহর নানা ওয়াজেদ হাওলাদারের সাথে জমি নিয়ে তার পার্শ্ববর্তী ফিরোজা বেগমের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।বাকি বিল্লাহ বিভিন্ন সময় নানার বাড়িতে গিয়ে সেই জমির দেখভাল করে।আর এ নিয়ে প্রতিপক্ষ ফিরোজা বেগম ও তার সন্তানেরা বাকি বিল্লাহ কে তার নানা বাড়িতে আসতে বারণ করে ও হত্যার হুমকি দেয়।বাকি বিল্লাহ প্রতিপক্ষের বারণ না শুনে নানা বাড়িতে গেলে ফিরোজা বেগমের ছেলে হুমায়ুন কবির,স্বামী রাসেদ, জাহানারা, ফিরোজা বেগম ও কোহিনূর সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন ধারালোক দা ও লোহার পাইপ নিয়ে বাকি বিল্লার উপর হামলা চালায়।এ সময় প্রতিপক্ষরা দা ও পাইপ দিয়ে বাকি বিল্লাহ কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় আহত বাকি বিল্লাহ ডাক চিৎকারে তার বাবা ইমাম হোসেন ছুটি আসলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ।
পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।বর্তমানে আহত বাকী বিল্লাহ শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিষয়ে আহত বাকী বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানায় তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ একজন ছাত্রনেতা।প্রতিপক্ষরা পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে।
এ বিষয়ে আহত বাকী বিল্লাহ সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানায়।