ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর মরাখোলা এলাকা থেকে বুলবুল আহম্মেদ সজীবকে পিস্তল ও গুলিসহ গত কাল সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ শামীম হোসেনের নেতৃত্বে গ্রেফতার করেছে।
ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাইমেনুর রশিদ জানান,জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানাধীন বলাশপুর মরাখোলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে স্বাধীন বাংলা একাডেমির দরজার সামনে থেকে মোঃ বুলবুল আহমদে সজিব (৩০)পিতা মৃত এমরান হোসেন,মাতা কাজল বেগম, পলাশপুর মরা খোলা, থানা কোতোয়ালী,জেলা ময়মনসিংহ কে আটক করেন। এসময় উপস্থিত লোকজনের সামনেই বুলবুল আহম্মেদ সজীবের দেহ তল্লাশী করে তার কোমরের পিছন দিকে প্যান্টের ডান পাশে গোজা অবস্থায় ১টি বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগাজিন উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে পুলিশ।
পরবর্তীতে অভিযানে অংশগ্রহণকারী অফিসার ও ফোর্সগণ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারকৃত মোঃ বুলবুল আহমদে সজিব (৩০)-কে নিয়ে পুলিশের গাড়ীতে ওঠার সময় ধৃত আসামীর ডাক-চিৎকারে তার আত্মীয়-স্বজন ও তার প্রায় ২০০-২৫০ জন সমর্থক ধৃত আসামীকে বহনকারী রিকুইজিশনকৃত মাইক্রোবাসের সামনে এসে পথরোধ করে অভিযানে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের উপর আক্রমণ করে এবং ধৃত আসামীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এমতাবস্থায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অপর একটি টিম তাদের সহায়তা করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আটক মোঃ বুলবুল আহমদে সজিব (৩০)-এর আত্মীয়-স্বজন ও তার প্রায় ২০০-২৫০ জন উত্তেজিত সমর্থক দা, লাঠি- সোঠা ও লোহার রড দ্বারা পুলিশ সদস্যদের উপর আক্রমণ করে। এসময় তাদের বহনকারী দুইটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে অনুমান ২,০০,০০০/- (দুইলক্ষ) টাকা ক্ষতি সাধন করে এবং সহায়তাকারী টিমের এসআই (নিঃ)/ মোঃ রফিকুল ইসলাম এর মাথার তালুতে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। উক্ত ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় ০২টি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে