Crime News tv 24
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঝিনাইদহের ডেপুটি জেলার মাসুদ তুমি ভালো হলে না? কারাগারের বন্দীদের জিম্মি করায় তার কাজ

admin
জানুয়ারি ২৩, ২০২৫ ১:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের সাবেক ডেপুটি জেলার মোঃ মাসুদ হোসেন জেলখানায় বন্দীদের নিকট থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ,লক্ষ টাকা।
এছাড়া বন্দীদের জামিনে বের হওয়ার সময় খারাপ ব্যবহার ও দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। কারাগারের জামিন পাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়,
মাসুদ হোসেন জেলখানায় যেসব বন্দী কোর্ট থেকে জামিন পান তাদের নিকট থেকে বের হওয়ার সময় নানা রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন করে এসব টাকা আদায় করতেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক জেল থেকে বের হওয়া একজন বন্দী বলেন,ডেপুটি জেলার মাসুদ হোসেন আমার জামিনের কাগজ হাতে পেয়েই বিভিন্ন রকম তালবাহানা করেন। সে বলেন আপনার নামে এতগুলো মামলা কেন? আপনার বিষয়ে প্রশাসনের অনেক অভিযোগ আছে। কিন্ত আমার জামিনের সকল কাগজপত্র নাম ঠিকানা সঠিক হবার পরেও বলেন, আপনার বহু ঝামেলা আপনি বসুন আপাতত আপনাকে ছাড়া যাবে না।
আপনি আমার পিয়নের সঙ্গে কথা বলেন। তখন কারাগারের অফিস সহকারী এসে বলেন,আপনি তো বের হতে পারবেন না স্যার কে ম্যানেজ করুন বাকিটা আমি দেখছি। তখন আমি ভয়ে কোন কিছু না ভেবে জামিনের অন্য আসামীদের কাছ থেকে দুই এক হাজার করে টাকা ধার নিয়ে ও আমার পিসি কার্ড যে টাকা ছিল সেটা দিয়ে মোট ৭ হাজার টাকা দিয়ে বের হই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝিনাইদহ শহরের এক ব্যবসায়ী জানান,রাজনৈতিক একটি মামলায় জেলখানায় যায় ২০ দিন জেল খেটে জামিনে বের হওয়ার সময় কারাগারে ডেপুটি জেলার সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে। আমার কাগজপত্র ঠিক থাকার পরেও বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসিয়ে রাখে।
এরপর বলে আপনাকে ছাড়া যাবে না তখন আমি বলি আমিতো জামিনে আছি। তখন ডেপুটি জেলার বলেন,আপনার বিষয়ে উপর মহলের চাপ আছে। আপনি কথা বলেন আমার সহকারীর সঙ্গে। তখন আমি বড় চিন্তায় পড়ে যাই। উপায় না পেয়ে ওই অফিস সহকারীর মোবাইলে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বের হয়। ঝিনাইদহের এরকম একাধিক জেলবন্দী মানুষ মাসুদ হোসেনের কাছে হয়রানি শিকার হয়েছেন বলে জানান। অনুসন্ধানে জানা যায় ডেপুটি জেলার মাসুদ হোসেন এভাবে প্রতিদিন জামিনে যাওয়া বন্দীদের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু ৩০ হাজার টাকা করে নিতেন মামলা বুঝে। এ বিষয়ে মাসুদ কামালের নিকট জানতে চাইলে সে বলেন,আমি অসুস্থ এসব বিষয়ে কথা বলতে পারব না বর্তমানে আমি ঝিনাইদহ তে নেই। সম্প্রতি মাসুদ হোসেনের দুর্নীতি অনিয়মের তথ্য জানাজানি হবার পরে গত ৩১/০১/২০২৪/ তারিখে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে ফরিদপুর কারাগারে বদলি করা হয়। এরপর সেখান থেকে আবার তাকে রাজবাড়ি কারাগারে বদলি করা হয়। মাসুদ হাসানের এরকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে জেলা কারাগারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করেন ঝিনাইদহের সচেতন মহলের মানুষ।