কঠোর বিধিনিষেধ শেষে ২০ দিন পর চালু হচ্ছে বরিশাল-ঢাকা নৌপথের যাত্রীবাহী লঞ্চ। বুধবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে লঞ্চগুলো বরিশাল থেকে ছেড়ে ঢাকায় আসবে। এরই মধ্যে একদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে লঞ্চের কেবিনের সব টিকিট।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ার খবরে সকাল থেকে বরিশালের লঞ্চ কাউন্টারগুলোতে ভিড় করেন যাত্রীরা। কাউন্টার থেকে তাদের বলা হয়, টিকিট শেষ।
কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসবে নয়টি লঞ্চ। এর মধ্যে কেবিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে লঞ্চ ছাড়ার আগে এলে টিকিট পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে, দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চলাচল শুরুর খবরে খুশি নৌযান শ্রমিকরা। বরিশাল নদীবন্দরে নোঙর করা লঞ্চগুলো মঙ্গলবার সকাল থেকে ধোয়ামোছা করেছেন তারা।
বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী বহন করতে হবে। ব্যত্যয় হলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
লঞ্চের টিকিট কাউন্টারগুলোতে দেখা যায়, টিকিট নিতে আসা মানুষের ভিড়। তবে প্রতিটি লঞ্চে ভিআইপি এবং কোটাধারীদের জন্য কিছু কেবিন রাখা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কেবিন থেকে গেলে তা বুধবার লঞ্চে বসে বিক্রি হবে বলে জানান একাধিক কাউন্টার ম্যানেজার।
সুন্দরবন লঞ্চের কাউন্টার ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, লঞ্চের কেবিনের চাহিদা থাকে সবসময়। অনেকদিন পর লঞ্চ চালু হওয়ায় চাপ বেড়েছে। সরকারের ঘোষণার পর থেকে যাত্রীরা কেবিন নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইলে কল আসা শুরু হয়। এখন কেবিন নেই।
বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ‘লঞ্চগুলোর কেবিন পরিপূর্ণ হলেও স্বাস্থ্যবিধির সমস্যা হবে না। তবে ডেকের যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি। সেই বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের নজর থাকবে। কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে ওই লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।