Crime News tv 24
ঢাকামঙ্গলবার , ১০ আগস্ট ২০২১
  1. অন্যন্য
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলা
  5. জাতীয়
  6. দেশজুড়ে
  7. ধর্ম
  8. ফিচার
  9. বাংলাদেশ
  10. বিনোদন
  11. মতামত
  12. রাজনীতি
  13. রান্না
  14. রাশিফল
  15. লাইফস্টাইল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অধ্যক্ষ মিন্টুকে ৬ টুকরা: দুইজনের স্বীকারোক্তি, একজন রিমান্ডে

নাইস মর্নিং ডেস্ক
আগস্ট ১০, ২০২১ ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাভারের আশুলিয়ায় অধ্যক্ষ মিন্টু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত তিনজনকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছিল আশুলিয়া থানা পুলিশ। এর মধ্যে মো. রবিউল ইসলাম ও তার ভাগনে আব্দুর রহিম বাদশা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন এবং অপর শিক্ষক আবু মোতালেবের ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে প্রিজনভ্যানে তাদের আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার রাতে র‌্যাব-৪ এর পক্ষ থেকে আসামিদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হলে রাতেই নিহতের ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৩ জন এজহারনামীয়সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অধ্যক্ষ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার চন্ডিপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (৩০), একই গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে আব্দুর রহিম বাদশা (২২) ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া থানার ভজনপুর গ্রামের মো. মফিজুর রহমানের ছেলে মো. আবু মোতালেব (৩০)। এদের মধ্যে রবিউল ও রহিম বাদশা সম্পর্কে মামা-ভাগনে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই মিলন ফকির বলেন, সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে সাত দিন করে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে রবিউল ইসলাম এবং ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানের আদালতে আব্দুর রহিম বাদশা হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেছে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত আবু মোতালেবকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামাদের আদালতে উঠানো হলে শুনানি শেষে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই আশুলিয়ার জামগড়া সাভার রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে তারই সহকারী শিক্ষক ও পার্টনাররা। প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও মালিকানা দ্বন্দ্ব নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। তারা মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরো করে। এর মধ্যে দেহের ৫ টুকরো স্কুলের আঙিনায় মাটিতে পুঁতে রাখে ও বিচ্ছিন্ন মাথা ঢাকার আশকোনার একটি ডোবায় ফেলে দেয়।

পরে সোমবার র‌্যাব-৪ অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশের টুকরো স্কুলের আঙিনা থেকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে। পরে আশকোনার ডোবা থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাও উদ্ধার করে র‌্যাব।

নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মণ আশুলিয়ার জামগড়া ছয়তলা এলাকার সাভার রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও পার্টনারে মালিক ছিলেন। তিনি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মণের ছেলে। প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ। র‌্যাবের অভিযানে আলোচিত ঘটনাটির রহস্য উদঘাটন হয়।

(যুগান্তর)