নওগাঁর মান্দায় রহস্যজনক আগুনে একটি স্টেশনারি দোকানের দুটি কম্পিউটার, একটি ফটোকপি মেশিন, দুটি প্রিন্টার, লেমনেটিং মেশিনসহ সমুদয় মালামাল পুড়ে গেছে। উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের বাদলঘাটা স্কুলবাজারে গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম বিদ্যুৎ হোসেন। তিনি বাদলঘাটা গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। বাদলঘাটা স্কুলবাজারে তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনারি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি একটি মারধরের মামলায় বিদ্যুৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এর একদিন পরেই তার দোকানে আগুনের ঘটনা ঘটে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘শনিবার রাতে কখন দোকানটিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে তা বলতে পারছি না। রোববার সকালে হাঁটতে গিয়ে দোকানে আগুন লাগার বিষয়ে জানতে পারি। বাজারে নৈশপ্রহরী থাকলে রাতেই আগুন লাগার বিষয়ে জানা যেত।’ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর বাবা মোজাম্মেল হক বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি বাদলঘাটা মৌজার একটি গভীর নলকূপের অপারেটর নিয়ে নাসির উদ্দিন গংদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ২৩ দিন পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি ছেলে বিদ্যুৎ হোসেনসহ ১০জনের বিরুদ্ধে সুমি বিবি নামের এক নারী মান্দা থানায় মারধরের মামলা করেন। এ মামলায় ছেলে বিদ্যুৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মোজাম্মেল হক দাবী করেন, ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন জেলহাজতে থাকায় দোকানঘরটি বন্ধ ছিল। এ সুযোগে প্রতিপক্ষের লোকজন আগুন দিয়ে দোকানঘরটি পুড়িয়ে দিয়ে থাকতে পারে। আগুনে ওই দোকানের অন্তত ৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে রোববার সকালে থানার উপপরিদর্শক শামীম হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নওগাঁ #