পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসিক সংকট নিরসনে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন পৌরসভায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮টি বিভাগের ৫৯ জেলার ৬৬টি পৌরসভায় এসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। বাকি পৌরসভার কর্মীরা পর্যায়ক্রমে আবাসিক সুবিধা পাবেন। এদের জন্য নির্মিত হবে ৩ হাজার ৪০টি ফ্লাট। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, দেশের বিভিন্নস্থানে গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসন সমস্যা প্রকট। রাজধানীসহ বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আবাসিক সুবিধা থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভার কর্মীদের এ সুবিধা নেই। তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে বাসাভাড়া করে থাকছেন। সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করেই ‘পৌরসভায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প নিয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে নগর ও পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্প সম্পন্ন হলে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। এই বিবেচনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক প্রস্তাবিত প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক বলে মনে করেন পরিকল্পনা কমিশন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গত ৭ সেপ্টেম্বরের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে প্রকল্পটি নিয়েছে সরকার। এটি বাস্তবায়িত হলে তাদের জীবনমান বাড়বে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট পৌরসভায়ও ফ্লাট নির্মাণ হবে।
প্রসঙ্গত, ফ্লাটগুলোতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা থাকলেও তাদের কাছ থেকে কোনও ভাড়া আদায় না করার নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ফ্লাট পরিচালনার জন্য ন্যূনতম একটি চার্জ নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।